রাম ঠাকুর ও বালক ব্রহ্মচারী: আধ্যাত্মিক বন্ধনের এক অলৌকিক অধ্যায়"
রাম ঠাকুর ও শ্রীশ্রী বালক ব্রহ্মচারী মহারাজের সাক্ষাৎ আধ্যাত্মিক ইতিহাসে এক বিশেষ অধ্যায়। অসুস্থ রাম ঠাকুরের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বালক ঠাকুর, যার নির্দেশনায় রাম ঠাকুর সুস্থ হয়ে ওঠেন। এক মহাপুরুষের আরেক মহাপুরুষের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আধ্যাত্মিকতার গভীর সম্পর্ক এই ঘটনাকে করে তোলে অনন্য।
আধ্যাত্মিক জগতে রাম ঠাকুরের নাম জানেন না খুব কম লোকই আছেন। রাম ঠাকুর তখন নারায়ণগঞ্জে। তাঁর শরীর অসুস্থ, দীর্ঘদিন আমাশয়ে ভুগে কাহিল হয়ে পড়েছেন। ডাক্তার কবিরাজের চিকিৎসায় বিশেষ কোন ফল হচ্ছে না। কমলাপুরের বড় হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার উমেশ মুখার্জীর কাছে বালক ঠাকুর সম্বন্ধে অনেক কথা তিনি শুনেছেন। রাম ঠাকুর মহাপ্রভুর ভক্ত ছিলেন। তাই মহাপ্রভুর ভবিষ্যৎবাণীর মূর্ত প্রতীক হয়ে বালক ঠাকুর এসেছেন জেনে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনেক দিন থেকেই তার বাসনা। যোগাযোগ হয়ে গেল। রাম ঠাকুর যে বাড়ীতে থাকছেন, তার পাশের বাড়ীতেই নারায়ণগঞ্জে বালক ঠাকুরও উপস্থিত। অনেকেই বলে একমাত্র বালক ঠাকুরই পারবেন রাম ঠাকুরকে সুস্থ করে তুলতে। উনি গেলেন পাশের বাড়ীতে।
শ্রী শ্রী ঠাকুর বালক ব্রহ্মচারী মহারাজকে দেখে অভিভূত হয়ে তিনি বলে উঠলেন 'সত্য নারায়ণ, তুমি এসেছো।' ঠাকুর এই অমায়িক, নিষ্ঠাবান সাধককে ভালবেসে ফেললেন। বললেন, অনেক সাধু সন্ন্যাসীর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ। আপনাকে বেশ ভাল লেগেছে। তাঁর অসুখ সম্বন্ধে কয়েকটি নিয়ম বলে দিলেন, তাতেই রাম ঠাকুর সুস্থ হয়ে উঠলেন। রাম ঠাকুর সাধারণতঃ সবাইকে আপনি বলে সম্বোধন করতেন। কিন্তু শ্রী শ্রী ঠাকুরকে তুমি বলে সম্বোধন করলেন। তিনি নাম দিতেন। বীজমন্ত্র দিতেন না। পরে অনেক ভক্তকে ঠাকুরের কাছে দীক্ষা নিতে পাঠিয়েছিলেন।
এই প্রসঙ্গে একটা প্রাসঙ্গিক কথা অবতারণা করছি। ১৯৩৯ সালে রাম ঠাকুর শ্রীশ্রী ঠাকুরকে প্রথম দেখে বলেছিলেন, সত্যনারায়ণ তুমি এসেছো। ঠিক এর দশ বছর পর ১৯৪৯ সালে একটা চিঠিতে উনি লিখেছেন, বালক ঠাকুরকে নিয়ে আমার মূল্যায়ন সেদিন ভুল হয়েছিল। উনি নারায়ণ নন। নারায়ন নির্মান করতে সক্ষম।
(পুস্তক সূত্র : ছোটবেলার সংক্ষিপ্ত জীবনকথা এবং 'রাম নারায়ণ রামের' গুরুত্ব)
রাম ঠাকুর ও বালক ব্রহ্মচারী: আধ্যাত্মিক বন্ধনের এক অলৌকিক অধ্যায়"
Reviewed by srisriramthakurfbpage
on
নভেম্বর ২৯, ২০২৪
Rating:
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই: