বেদবাণী - প্রথম খন্ড (উদ্ধৃত উপদেশাবলী)
১ ১/১ - যাহা ভগবান করেন তাহার হাত ছাড়ান জীবের সাধ্য নাই।
১. ১/১ - ভগবান যা করেন তা তাঁর হাত ছাড়া কেউ এড়াতে পারে না। জীবের সাধ্য নেই তাঁর কাজকে রোধ করার।
২ ১/২ - প্রারব্ধ সূত্রে যাহা যখন যার উপস্থিত করে তার তাহাই ভোগ হয়, ইহার জন্য অনুতাপ এবং প্রয়াস করিতে নাই।
২. ১/২ - প্রারব্ধ (ভাগ্যের লিখন) অনুযায়ী যা ঘটবে, যখন ঘটবে এবং যার সঙ্গে ঘটবে, তা ঘটবেই। এজন্য অনুতাপ বা বাড়তি চেষ্টা করার প্রয়োজন নেই।
৩ ১/৬ - সকল ভার দিয়া প্রারব্ধ চর্য্যায় ব্রতী থাকিলে গুরুই সকল বিষম বিপদ সম্পদ হইতে উদ্ধার করেন।
৩. ১/৬ - জীব যদি প্রারব্ধের সমস্ত ভার গুরুকে অর্পণ করে তার কর্মে ব্রতী থাকে, তাহলে গুরুই তাকে সমস্ত বিপদ এবং সম্পদ থেকে উদ্ধার করেন।
৪ ১/১১ - ভগবৎ শক্তি দ্বারা ভগবৎ সেবার শক্তি পাওয়া যায়।
৪. ১/১১ - ভগবানের শক্তির মাধ্যমে তাঁর সেবার শক্তি লাভ করা যায়।
৫. ১/২৪ - সবসময় সহিষ্ণু থাকার চেষ্টা করা উচিত। এটি জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ।
৬ ১/২৯ - বৃথা কর্ত্তৃত্বাভিমান জাগরণ করিতে নাই।
৬. ১/২৯ - অকারণে অহংকার বা কর্তৃত্ববোধের উদ্রেক করা উচিত নয়।
৭ ১/৫৬ - সংসারের সারই ভগবান, জীব ভাবের এই শক্তি।
৭. ১/৫৬ - সংসারের সারবস্তু হলো ভগবান। জীবের মধ্যে তাঁর প্রতি ভক্তি এবং এই বোধই শক্তি।
৮ ১/৬৯ - ভগবানের উপর সকল ভার দিয়া কার্য করিয়া যাইবেন,প্রারব্ধ ভোগ কেটে যাবে।
৮. ১/৬৯ - ভগবানের ওপর সব দায়িত্ব অর্পণ করে কাজ করে যান। এতে প্রারব্ধের কষ্ট সহজেই কেটে যাবে।
৯ ১/১১৯ - ভগবানের উপর সকল ভার রাখিয়া কার্য্যক্ষেত্রে কার্য্য করিতে থাক। তাঁহার বিচার সূক্ষ্ণ।
৯. ১/১১৯ - ভগবানের ওপর সব ভার রেখে কাজ চালিয়ে যান। তাঁর বিচার সর্বদাই সূক্ষ্ম এবং ন্যায়নিষ্ঠ।
১০ ১/১২০ - ইচ্ছা করিলে কি হইবে, প্রাক্তন ভাগ্যফলকে কে খন্ডন করে?
১০. ১/১২০ - ইচ্ছা করলেই সব কিছু হবে না। পূর্বের ভাগ্যের ফলকে কেউ ভঙ্গ করতে পারে না।
১১ ১/১২৮ - হরি নামই সত্য, হরি নামে সকল আনন্দ বিতরণ হয়।
১১. ১/১২৮ - হরিনামই একমাত্র সত্য। হরিনামের মাধ্যমেই সব আনন্দ বিতরণ হয়।
১২ ১/১৭১ - না লইবে কারো দোষ, না করিবে কারে রোষ। সততঃই কৃষ্ণব্রত লক্ষ্য রাখিবে। কৃষ্ণদাস নিত্যমুক্ত।
১২. ১/১৭১ - কারো দোষ নেবেন না, কাউকে রাগ করবেন না। সবসময় কৃষ্ণচিন্তা করবেন। কৃষ্ণের দাস নিত্যই মুক্ত।
১৩ ১/১৮৩ - কোন চিন্তা করিবে না, সর্ব্বদাই গুরুর চিন্তা করিবে।
১৩. ১/১৮৩ - কোন চিন্তা করবেন না, সর্বদাই গুরুর চিন্তা করবেন। গুরুই সঠিক পথ দেখাবেন।
১৪ ১/১৮৭ - যথাসাধ্য সময় সময় কিছু কিছু আত্মার কর্ম্ম করিলে মনের অনেক শান্তি হয়।
১৪. ১/১৮৭ - সময়মতো নিজের সাধ্যানুযায়ী কিছু আত্মার কল্যাণকর কাজ করলে মনে শান্তি আসে।
১৫ ১/২০০ - সত্যকে সর্ব্বদা আহরন করিবে।
১৪. ১/১৮৭ - সময়মতো নিজের সাধ্যানুযায়ী কিছু আত্মার কল্যাণকর কাজ করলে মনে শান্তি আসে।
১৬ ১/২০৩ - চিন্তা ভাবনা করিয়া ফল নাই। অদৃষ্টে যাহা হইতেছে তাহাই হইবে। সহ্য করিয়া লইতে হয়।
১৬. ১/২০৩ - চিন্তা করে কোনো ফল নেই। ভাগ্যে যা ঘটবে, তা হবেই। সহ্য করাই একমাত্র পথ।
১৭ ১/২০৯ - ভগবানকে আশ্রয় করিয়া থাকিবে, ভগবান সকল মঙ্গল করিবেন।
১৭. ১/২০৯ - ভগবানের আশ্রয় নিন। তিনিই আপনার সকল মঙ্গল করবেন।
১৮ ১/২১৪ - ভোগের তাড়না সহ্য করাই ধর্ম্ম। সহ্য করিতে করিতে আরোগ্য হইয়া থাকে।
১৮. ১/২১৪ - ভোগের তাড়না সহ্য করাই ধর্ম। সহ্য করতে করতে একসময় তা দূর হয়ে আরোগ্য আসে।
১৯ ১/২১৯ - সর্ব্বদাই সহ্যকে প্রতিপালন করিতে ভালবাসিবে। সহ্যই পরম ধর্ম্ম।
১৯. ১/২১৯ - সর্বদা সহ্য করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সহ্য করাই পরম ধর্ম।
২০ ১/২২০ - ভগবান যাহা করেন তাহাই হইবে। ভগবানের উপর নির্ভর রাখিয়া যথাসাধ্য চেষ্টা করিবে।
২০. ১/২২০ - ভগবান যা করেন, তাই হবে। ভগবানের ওপর নির্ভর করে নিজের সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা চালিয়ে যান।
বেদবাণী - প্রথম খন্ড (উদ্ধৃত উপদেশাবলী)
Reviewed by srisriramthakurfbpage
on
নভেম্বর ১৮, ২০২৪
Rating:
কোন মন্তব্য নেই: