বেদবানী প্রথম খন্ড - (৮৮)নং পত্রাংশ ,শ্রী শ্রী রামঠাকুর।
সর্ব্বদা অনাসক্ত হইয়া উপস্থিত কার্য্য কর্ম্মাদি সম্পাদন করিবার চেষ্টা করিবেন। বাজে অনিত্য, ক্ষণস্থায়ী সুখজনক গোলমাল না করিয়া গুরুর কার্য্যে রত থাকিবার জন্য নিয়ত চেষ্টা করিবেন। পবিত্র আত্মাকে ছাড়িয়া অনিত্য অসুখকর ক্ষণসুখের দিকে লক্ষ্য রাখিবেন না। সকল বেগ সতত সহ্য করিয়া থাকিতে চেষ্টা করিবেন। কাহারো দোষ গুণ লইবেন না, পক্ষপাত দোষে আত্মার মলিন জন্মে অহংজ্ঞান কর্ত্তৃত্বহেতু হইয়া থাকে। কর্ত্তৃত্বাভিমান ছাড়িবার জন্য মনে বিচার করিয়া আত্মার সঙ্গে নির্ম্মলভাবে আত্মারই কর্ত্তার অধীন হইয়া থাকিলে নিত্যমুক্ত হইয়া পরিণামে শ্রীগুরুর পদ পাওয়া যায়। হৃদয়ের সংশয় ছেদন করিয়া সবল হইয়া থাকিলে অপার আনন্দ তাহাকে অধিকার করে।
এই পত্রাংশে শ্রী শ্রী রামঠাকুর তাঁর ভক্তদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাগুলি দিয়েছেন। তিনি বলছেন যে সর্বদা নিজেকে অনাসক্ত রেখে, নিজের দায়িত্ব ও কাজ সম্পাদন করার চেষ্টা করা উচিত। মানে, যেকোনো কাজ করতে হবে কিন্তু সেই কাজের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি থাকা উচিত নয়।
তিনি আরও বলেছেন, সাময়িক এবং ক্ষণস্থায়ী আনন্দ বা গোলমালের পেছনে না ছুটে বরং গুরুর কাজে মনোযোগ দেওয়া উচিত। আত্মা হল পবিত্র, তাই অনিত্য, অস্থায়ী এবং দুঃখজনক মুহূর্তগুলির প্রতি নজর না দিয়ে, নিজের মনকে স্থির রাখা উচিত।
শ্রী শ্রী রামঠাকুর আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে, সবরকম প্রবল চাহিদা বা আঘাতকে সহ্য করে থাকতে হবে এবং অন্যের দোষ-গুণ নিয়ে আলোচনা বা বিচার করা উচিত নয়। পক্ষপাতের জন্য আত্মা কলুষিত হয় এবং অহংবোধ সৃষ্টি হয়, যা আত্মার শুদ্ধতা নষ্ট করে।
তিনি বলেন, কর্তৃত্ব এবং অহংকার থেকে মুক্ত হতে হবে এবং আত্মার সাথে আত্মিক যোগস্থাপন করে শুদ্ধভাবে, নিজের কর্তব্য পালন করতে হবে। এর ফলে পরিণামে গুরুর পদ (অর্থাৎ গুরুর কৃপা বা শ্রীগুরুর চরণ) লাভ করা সম্ভব হয়।
অন্তরের সন্দেহকে দূর করে, দৃঢ়তা বজায় রাখলে এক অশেষ আনন্দ অনুভব করা যায়।
এটি আত্ম-উন্নয়ন ও ভক্তির পথে এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ।
বেদবানী প্রথম খন্ড - (৮৮) নং পত্রাংশ ,শ্রী শ্রী রামঠাকুর।
Reviewed by srisriramthakurfbpage
on
নভেম্বর ০৫, ২০২৪
Rating: 5
কোন মন্তব্য নেই: