বেদবানী প্রথম খণ্ড (১১৬) | ভগবানের প্রতি নির্ভরশীলতার মাধ্যমে শান্তি লাভ | শ্রী শ্রী রামঠাকুর"

 বেদবানী প্রথম খণ্ড (১১৬) | ভগবানের প্রতি নির্ভরশীলতার মাধ্যমে শান্তি লাভ | 

 

শ্রী শ্রী রামঠাকুর"আপনারা দেখছেন ‘শ্রী শ্রী রামঠাকুর ও গান - গানের ভুবন’। আজ আমরা আলোচনা করব বেদবানী প্রথম খণ্ডের ১১৬ নং পত্রাংশ। গুরু ঠাকুর আমাদের জীবনে ভগবানের প্রতি নির্ভরশীলতার গুরুত্ব ও শান্তির পথের সন্ধান দিয়েছেন। আসুন, আমরা গভীরভাবে উপলব্ধি করি ঠাকুরের এই মহাবাণীর অর্থ।"

 

বেদবানী প্রথম খণ্ড (১১৬) - শ্রী শ্রী রামঠাকুরের পত্রাংশের ব্যাখ্যা

মূল বাণী:
“ভগবানের উদ্দেশে থাকিয়া নির্ভর সূত্রে সকল শান্তিই পাওয়া যাইতে পারে।”


বাণীর বিশদ ব্যাখ্যা:

এই পত্রাংশে শ্রী শ্রী রামঠাকুর সহজ ভাষায় এক গভীর দার্শনিক এবং আধ্যাত্মিক সত্য প্রকাশ করেছেন।

১. ভগবানের উদ্দেশে থাকা মানে কী?

ভগবানের উদ্দেশে থাকা মানে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর প্রতি ভক্তি, বিশ্বাস এবং আস্থা স্থাপন করা। মানবজীবনে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, কিন্তু যদি আমরা ঈশ্বরের উপর নির্ভর করি এবং তাঁর ইচ্ছার উপর নিজেকে সমর্পণ করি, তবে আমাদের মন শান্ত হয়।

  • ভগবানের উদ্দেশে থাকা মানে নিজেকে অহং থেকে মুক্ত করে ঈশ্বরকে জীবনের কেন্দ্রে স্থাপন করা।
  • অহং, লোভ, ক্রোধ, এবং মোহ থেকে মুক্ত হলে ভগবানের প্রতি গভীর আস্থা জন্মায়।

২. নির্ভর সূত্রে সকল শান্তি কীভাবে আসে?

ঠাকুর এখানে উল্লেখ করছেন যে, ঈশ্বরের প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস আমাদের সকল দুঃখ-কষ্টের মধ্যে শান্তি এনে দিতে পারে।

  • নির্ভর সূত্রে বলতে বোঝানো হয়েছে, ভগবানের প্রতি নির্ভরতা।
  • ভগবানের প্রতি বিশ্বাস রাখা মানে সব দুঃখ-কষ্টকে তাঁর ইচ্ছা বলে মেনে নেওয়া। এতে জীবনের প্রতিটি সংকটকেও আমরা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারি।
  • এই নির্ভরতা আমাদের হৃদয় ও মনকে প্রশান্তি দেয়। এটি এমন এক অবস্থান, যেখানে জীবনের সকল বেগ বা উত্থান-পতন শান্তির সাথে মোকাবিলা করা যায়।

৩. কর্ম্ম ও ভগবানের প্রতি নির্ভরশীলতা:

শ্রী শ্রী রামঠাকুরের মতে, কর্ম্ম করাই জীবনের ধর্ম। কিন্তু এই কর্ম্মের ফলাফল নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে যদি আমরা ঈশ্বরের প্রতি নির্ভরশীল হই, তাহলে মানসিক শান্তি অক্ষুন্ন থাকে।

  • ভগবানের উপর নির্ভর করে কাজ করলে মানসিক অস্থিরতা দূর হয়।
  • ফলাফলের চিন্তা ছেড়ে ঈশ্বরের ইচ্ছায় কাজ করলে অভ্যন্তরীণ শান্তি বজায় থাকে।

৪. ভগবানের সাথে সংযোগের গুরুত্ব:

ভগবানের উদ্দেশে নিজেকে নিবেদন করার মানে হলো তাঁর প্রতি অন্তরের গভীর থেকে সম্পূর্ণ ভক্তি ও আস্থা স্থাপন করা।

  • এই সংযোগ আমাদের অহংকার, দুঃখ এবং অসন্তোষকে দূর করে।
  • প্রতিদিন প্রার্থনা, জপ, এবং ভগবানের চরণে নিজেকে উৎসর্গ করাই এই সংযোগের মূল পন্থা।

উপসংহার:

শ্রী শ্রী রামঠাকুরের এই বাণী আমাদের শেখায় যে ঈশ্বরের প্রতি নির্ভরশীলতা আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে শান্তি এবং সমৃদ্ধি এনে দিতে পারে। তিনি আমাদের মনে করিয়ে দেন, যখন আমরা ভগবানের উপর বিশ্বাস রাখি, তখন জীবনের সকল দুঃখ-কষ্ট সহনীয় হয়ে ওঠে। ভগবানের সাথে এই সম্পর্ক আমাদের জীবনের প্রকৃত আনন্দের উৎস।

এই বাণী জীবনের এক সহজ, অথচ গভীর সত্যকে প্রকাশ করে, যা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে প্রয়োগ করা উচিত। 🙏

শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বাণী আমাদের জীবনের গভীর সত্যকে উপলব্ধি করায়। ভগবানের প্রতি নির্ভরশীলতা এবং তাঁর ইচ্ছার উপর আস্থা স্থাপন করলেই জীবনে প্রকৃত শান্তি লাভ করা সম্ভব।

আপনারা যদি এই ভিডিওটি থেকে কিছু শিখে থাকেন বা এটি ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই লাইক, শেয়ার এবং সাবস্ক্রাইব করুন। ঠাকুরের আরও মূল্যবান বাণী নিয়ে আমরা পরবর্তী পর্বে ফিরে আসব।

ততদিন পর্যন্ত ঠাকুরের কৃপায় থাকুন, শান্তিতে থাকুন।
জয় গুরু। 🙏"

বেদবানী প্রথম খণ্ড (১১৬) | ভগবানের প্রতি নির্ভরশীলতার মাধ্যমে শান্তি লাভ | শ্রী শ্রী রামঠাকুর" বেদবানী প্রথম খণ্ড (১১৬) | ভগবানের প্রতি নির্ভরশীলতার মাধ্যমে শান্তি লাভ | শ্রী শ্রী রামঠাকুর" Reviewed by srisriramthakurfbpage on ডিসেম্বর ০২, ২০২৪ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

 


Blogger দ্বারা পরিচালিত.