বেদবানী প্রথম খন্ড - (৪৬)নং পত্রাংশ
সংসার মায়ামুগ্ধ ভ্রান্তিজনক। এই সংসারে প্রারব্ধভোগে পরিচালিত হইয়া থাকে। বাসনাকুলে বিব্রত হইয়া সত্য প্রতিষ্ঠার চঞ্চল হয়। কর্মক্ষেত্রে সহিষ্ণুতাই সামর্থ্য প্রকৃতির উদ্বর্ত্তন করিয়া থাকে। প্রলোভনীয় পথে নানা উপসর্গ জুটিয়া চিত্তকে কলুষিত করিয়া লয়, তাহা হইতেই নানা উপায় অবলম্বন করিয়া জগতে অভাবগ্রস্থ হইয়া পড়ে। নানা পথে চালিত হইয়া, নানাগুণের তরঙ্গ দ্বারা শান্তির অশান্তির সংঘটন করে। মুক্তি পাবে বলিয়া মায়া অর্থাৎ ভ্রান্তি যোগ আশ্রয় নিয়া যজ্ঞ ভুলিয়া যায়। যজ্ঞ শেষ করিতে পারে না। যজ্ঞ হারাইয়া নানাবিধ কাল দণ্ডের অধীন হইয়া গতাগতিময় পুনঃ পুনঃ জগতে নানারূপে সুখ দুঃখে লাঞ্ছিত হইতে দেখা যায়। স্থির বস্তুর সঙ্গ না পাইয়া, পতিসেবা হারাইয়া নানাবিধ উপায় সৃষ্টিদ্বারা কেহ সন্ন্যাসী, কেহ জাপক, কেহ যোগী, কেহ ভোগীরূপ ধারণ করিয়া আশু সুখ অনুভূতিদ্বারা সর্ব্বতোভাবে ব্যবসায়ী বুদ্ধির আবৃত হইয়া যায়। এই সকল কেবল মায়ামন্ত্র জানিবেন। সকল উদ্দেশ্যবিধান ছাড়িয়া একমাত্র পতিসেবায় নিত্য নিযুক্ত থাকিতে চেষ্টা করিবেন। বর্তমানে পতিসেবাই পরম পুরুষার্থ, ইহা বই আর কিছুই নাই। ভগবৎভক্তিদেবী কোন অভাব প্রবর্ত্তন করান না, সর্ব্বদাই পবিত্র করিয়া দেন।
শ্রী শ্রী রামঠাকুর।
কোন মন্তব্য নেই: