📜 শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী – প্রথম খণ্ড, পত্রাংশ নং (৮):
"বোঝা এবং না বোঝা দুইই এক, কারণ উভয়েই ভ্রান্ত। এই দুইয়ের অভাবই শান্তি।"
🔍 পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট বিশ্লেষণ:
1️⃣ “বোঝা এবং না বোঝা দুইই এক...”
-
ঠাকুর এখানে বলছেন, “আমার বুঝেছি” বা “আমি কিছুই বুঝি না”—এই দুই ভাবনাই মনের সৃষ্টি।
-
কেউ ভাবছে: আমি সব বুঝে গেছি। কেউ ভাবছে: কিছুই বুঝতে পারি না।
⟶ কিন্তু এই দুই অবস্থাই মায়ার বন্ধন।
2️⃣ “কারণ উভয়েই ভ্রান্ত”
-
বোঝার গর্ব = অহংকার।
-
না বোঝার হীনম্মন্যতা = আত্মবিশ্বাসের অভাব।
⟶ দুটোই মানুষকে সত্য থেকে বিচ্যুত করে। -
সত্য বোঝা মানে শুধুই জ্ঞান নয়, বরং অহংকারহীন উপলব্ধি।
-
ঠাকুর এখানে ইঙ্গিত করছেন যে, চরম সত্যকে মন বা বুদ্ধি দিয়ে বোঝা যায় না—তাকে অনুভব করতে হয়।
3️⃣ “এই দুইয়ের অভাবই শান্তি”
-
যখন “আমি বুঝছি না” বা “আমি সব বুঝে গেছি”—এই দুই অবস্থান থেকেই মন মুক্ত হয়, তখনই আন্তরিক শান্তি আসে।
-
মন নিস্তব্ধ হয়, অহংকার ও দ্বন্দ্ব দূর হয়—তখন জীব ঈশ্বরের নিকটবর্তী হয়।
-
সত্য উপলব্ধি হয় নিঃশব্দ চেতনায়, বিচার-বিবেচনার বাইরে।
🕉️ উপসংহার:
ঠাকুর এই বাণীতে জ্ঞান ও অজ্ঞান দুইয়ের মধ্যেকার বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত হওয়ার পথ দেখিয়েছেন।
🌿 আমরা বুঝি—তবু বিভ্রান্ত হই। আবার না বুঝেও বিচলিত হই।
🌿 কিন্তু চূড়ান্ত সত্য হল—এই দুই অবস্থাই মন ও অহংকারের খেলা।
🌿 জীব তখনই শান্ত হয়, যখন সে নিজের বোঝা বা না বোঝার গর্ব ত্যাগ করে চুপচাপ ভক্তি ও গ্রহণযোগ্যতার জায়গায় পৌঁছে যায়।
👉 অতএব, ঠাকুর বলেন:
🧘 “চুপ করো, মন শান্ত করো—বোঝো না বোঝো না, শুধু থাকো ঠাকুরের আশ্রয়ে। তাহলেই আসবে প্রকৃত শান্তি।”
🙏 এই বাণী শুনে আপনার মন যদি একটুও শান্তি পায়, তবে তা শেয়ার করুন অন্যদের সঙ্গে। ঠাকুরের বাণী সকলের প্রাণে ছড়িয়ে যাক।
🌼 “বোধের গর্ব নয়, চেতনার নিস্তব্ধতাই মুক্তির পথ।”
কোন মন্তব্য নেই: